[অত্র লেখাটি AnthroBD’র পাঠকদের জন্য ভাষান্তর করেছেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা আফ্রিদা (সৃষ্টি), মূল লেখক ADAM KERSCH]
আলাস্কার লিংগিট (Tlingit) সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন নৃবিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা যায় যে, ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের সন্দেহ থাকার পেছনে ভালো কারণ রয়েছে। তারা তাদের ইতিহাস জানে। [অর্থাৎ তারা তাদের অতীত সম্পর্কে অবগত]।

অমিক্রন সাবভেরিয়েন্টের জন্য পুনরায় তৈরি করা কোভিড-১৯ এর নতুন ডোজ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বুস্টার ডোজ গ্রহণের মাত্রা খুবই কম। অক্টোবরে প্রথম বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনগুলো সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে ৫ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের মধ্যে মাত্র ১৩% মানুষ তা গ্রহন করেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ভ্যাকসিন গ্রহণে বিশেষ তাগিদ দেওয়ার পরও অধিকাংশ ব্যক্তি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
ভ্যাকসিনটি জীবনরক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার শক্তিশালী প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন এত মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত?
উত্তরগুলো জটিল। কিন্তু একটি সম্প্রদায়ের অতীতকে আরো ভালো করে বোঝার জন্য এটি কেবল একটি শুরু মাত্র। আমি একজন চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী বর্তমানে আলাস্কায় লিংগিট মানুষের মধ্যে সংক্রামক রোগের ইতিহাস অধ্যয়ন করছি। আমার গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের দ্বিধা মোকাবিলায় একটি প্রধান বাধা প্রকাশ পেয়েছে। বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে অনেক জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাই জানেন না যে, শেতাঙ্গ আধিপত্যের ইতিহাস কীভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রতি সাধারণ মানুষের অবিশ্বাস তৈরি করেছে।
শিটকাতে লিংগিট জনগোষ্ঠীর মধ্যে গবেষণামূলক ফ্লিডওর্য়াক করার জন্য আলাস্কার ট্রাইবাল কাউন্সিলের শিটকা/সিটকা ট্রাইব (Sitka Tribe of Alaska’s Tribal Council) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সম্প্রতি আমি এক বছর সেখানে অতিবাহিত করেছি। আমি তাদের সাথে কথা বলার পর জানতে পারি যে, কীভাবে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকার অনুমোদিত চিকিৎসা এবং জাতিগত অপব্যবহারের ফলে অনেকেই প্রথম দিকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিতে দ্বিধান্বিত হয়েছিল।
যক্ষা রোগের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার চেয়ে কয়েকটি গল্পের মাধ্যমে তাদের সাথে হওয়া এই অন্যায়গুলো আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। Bacille Calmette-Guerin (BCG)— একটি ভ্যাকসিন যা কাকতালীয় ভাবে, এখন Type-1 ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড থেকে হওয়া রোগ থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে পথ্য হিসেবে সম্ভাবনার আলো দেখাচ্ছে।
১৯৪০ এর দশকে আলাস্কা অঞ্চলে যক্ষা মহামারীর সম্মুখীন হয় এবং ১৯৫০ নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আট গুণ মৃত্যুহার এসে দাঁড়ায়। কয়েক দশক ধরে আলাস্কার অনেক নেটিভ সম্প্রদায় সরকারি অবহেলায়, বিশেষ করে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো ছাড়াই জীবনযাপন করেছেন। শেতাঙ্গদের তুলনায় এই সম্প্রদায়গুলোতে যক্ষাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার প্রায় ৩০ গুণ বেশি ছিল। স্বাস্থ্যসেবার অভাবকে স্বীকার করে ১৯৫৪ সালের একটি ফেডারেল স্বাস্থ্য রিপোর্ট-এ বলা হয়, “ফেডারেল বা অঞ্চল ভিত্তিক সরকার কেউই আলাস্কা নেটিভদের জন্য যক্ষা রোগের সামান্য পরিমান সাহায্যেরও ব্যবস্থা করে নি”।
যক্ষার এই স্থিতিশীল হার সবার মধ্যে এই উদ্বেগ জন্মায় যে মহামারীটি আলাস্কার নেটিভ সম্প্রদায়ের বাইরে বিশেষ করে শেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে মধ্যে ছড়িয়ে পরতে পারে। যা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিসিজি (BCG) ভ্যাকসিন ব্যবহার করার বিষয়ে বিবেচনা করতে প্ররোচিত করে। কিন্তু যাইহোক, সেই সময়ে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অপ্রমাণিত ছিল।
তাই BCG ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য দুইজন চিকিৎসক- ডা. জোসেফ অ্যারনসন (Dr. Joseph Aronson) ও ডা. ক্যারল পামার (Dr. Carrol Palmer)- কে অফিস অব ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ারস (Office of Indian Affairs) ও মার্কিন জনস্বাস্থ্য পরিষেবা (U.S. Public Health Service) থেকে সমর্থন দিয়ে নিয়ে আসা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০০০ আদিবাসীকে সমীক্ষায় তালিকাভুক্ত করেছেন এই দুই চিকিৎসক। যে সমস্ত “এলাকায় অর্থনৈতিক অবস্থা ও আবাসস্থল দারিদ্র্যতায় নিমজ্জিত এবং জনাকীর্ণ ছিল পাশাপাশি যক্ষায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেশি বলে রিপোর্ট করা” বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব আলাস্কায় সেই সকল আদিবাসী গ্রামগুলোতে গবেষকরা তাদের গবেষণার কেন্দ্র বানান। কিন্তু এই গ্রাম গুলো জনস্বাস্থ্যের হস্তক্ষেপের জন্য সাইট হওয়ার পরিবর্তে, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাইট হয়ে ওঠে।


এই গবেষণায় আদিবাসীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার সম্মতিপত্র গ্রহণ করা হয়নি এবং এই আদিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই ১৮ বছরের নিচে ছিলেন। পরবর্তীতে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে চিকিৎসকরা উল্লেখ করেন যে তারা ‘সংরক্ষণ’ এ পরীক্ষণটি পরিচালনা করেছেন, একটি সাধারণ শব্দ যা তারা “সংরক্ষণ, উপজাতি, স্কুল বা ভৌগোলিক অঞ্চল” বোঝাতে ব্যবহার করতেন। সম্ভবত, ডাক্তাররা তাদের গবেষণার জন্য পরীক্ষামূলক জনসংখ্যা হিসাবে আলাস্কা নেটিভ বোডিং স্কুলের ছাত্রদের ব্যবহার করেছিলেন।
আলাস্কার নেটিভদের জীবন রক্ষা – রাজ্যের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের মূল্য অতীব কম বলে মনে হয়েছে – বিশেষ করে যাদেরকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। গ্রহনযোগ্য হিসাবে, তারা পরীক্ষা বা নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ ছিল কিনা, চিকিৎসকরা দৃশ্যত এই পরীক্ষা থেকে সম্ভাব্য মৃত্যু দেখেছেন। তারা হয়তো এই ভুল ধারণায় ছিল যে, গবেষণার ফলাফল তাদের অন্যায় পদ্ধতিতে করা কাজকে সমর্থন করবে।
শেষ পযন্ত ভ্যাকসিনটি যক্ষা প্রতিরোধে সফল বলে প্রমাণিত হয়েছিল আদিবাসী শিশুদের এক্সপেরিমেন্ট এর বিষয় হিসাবে ব্যবহার করার পরেও, সরকারি কর্মকর্তারা আলাস্কা আদিবাসীদের মধ্যে টিকাটি ব্যাপকভাবে বিতরণ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, প্রাথমিকভাবে ১৯৪৯ থেকে থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে তারা শুধুমাত্র প্রায় ২০০০-৩০০০ আলাস্কা নেটিভকে অর্থাৎ এ অঞ্চলের ২% এরও কম মানুষের মধ্যে টিকা বিতরণ করেন। তারা এই সিদ্ধান্তটিকে এই বলে সমর্থন করতে চেয়েছিলেন যে, “ভ্যাকসিনটি পুরোপুরি বা ১০০% প্রতিরক্ষামূলক নয়”- যা যেকোনো ভ্যাকসিন সম্পর্কেই বলা যায়।
মূল কথা – সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই আলাস্কা নেটিভদের জীবনকে মূল্যবান দেখেছেন একমাত্র তখনই যখন তাদের দেহ একটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তারা মনে করেছেন- তবে সেই বায়োমেডিক্যাল গবেষণার ফলাফল পাওয়ার যোগ্য লোক হিসেবে নয় যেখানে কি না হয়তো সেই ভ্যাকসিনটি জীবনরক্ষাকারী হতে পারে।
যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য চিকিৎসা অবিচার সম্পর্কে অবগত তাদের কাছে এধরণের ঘটনাগুলো অত্যন্ত পরিচিত ও বেদনাদায়ক স্মৃতি স্বরূপ।
উদাহারন হিসেবে, ১৯৫০ এর দশকে হেনরিয়েন্ট ল্যাকস (Henrietta Lacks)- এর ঘটনা নিন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যার কোষ গুলো তার সম্মতি ছাড়াই এবং কোনো প্রকার আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি যখন ল্যাকসের পরিবার তাদের মৌলিক চাহিদাটুকু মেটাতে লড়াই করে যাচ্ছিলেন, তখন সেই সময়ের সবচেয়ে মূল্যবান কিছু চিকিৎসা অগ্রগতিতে ল্যাকসের কোষ তার শেতাঙ্গ চিকিৎসকরা ব্যবহার করে।
এবং BCG পরীক্ষার মতো, চিকিৎসকরা ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে আদিবাসী শিশুদের পিতা-মাতার কোনো প্রকার সম্মতি ছাড়াই তাদের উপর ট্রাকোমা-এর (Trachoma) চিকিৎসা পরীক্ষা করেছিলেন। এগুলো তো আছেই, তবে বিস্তৃত পরিসরে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে। যেমন- ডাক্তারদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কৃষ্ণাঙ্গদের ব্যবহার, কৃষ্ণাঙ্গদের মৃতদেহ চুরি করে তা মেডিকেল স্কুলের মৃতদেহ হিসাবে ব্যবহার করা, এবং আদিবাসী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং পুয়ের্তো রিকান মহিলাদের জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ।
২০২০ থেকে ২০২১ সাল পযন্ত শীটকা/সিটকা (Sheet’ka) গবেষণা করার সময়, লিংগিট (Tlingit) মানুষের সাথে কথা বলার মাধ্যমে আমি দেখেছি যে, অনেকেই এই অন্যায় সম্পর্কে অবগত ছিলেন। আমি প্রায় প্রতিটি লিংগিট (Tlingit) ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি, এবং অনেকেই এমন কাওকে চিনতেন বা জানতেন যাকে অসম্মতি থাকা সত্ত্বেও এই চিকিৎসা পদ্ধতি সহ্য করতে হয়েছে। এবং যারা সরাসরি এ থেকে প্রভাবিত হওয়া কাওকে চিনতেন না তারা এ ধরনের গল্প শুনে বড় হয়েছিলেন যে – আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে গুটিবসন্ত দ্বারা সংক্রমিত কম্বল মার্কিন সরকার জৈবিক যুদ্ধের একটি রুপ হিসাবে পাঠানো হয় – এ বিষয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে প্রচন্ড বির্তক হয়েছে।
যখন আমি লোকেদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলোর প্রতি তাদের প্রাথমিক মনোভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তখন অনেকেই আমাকে বলেছিল যে তারা এই ইতিহাসের কারণে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। যারা তাদের সম্প্রদায়ের এতোটা ক্ষতি করেছে তাদের উপর আস্থা রাখতে তারা অস্বস্তিবোধ করছিল।
তা সত্ত্বেও, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে অনেকেই প্রায়শই টিকা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থতাকে শিক্ষার সমস্যা হিসেবে চিত্রিত করে; শুধু মাত্র লোকেরা যদি “ভালোভাবে জানত” তবে তারা টিকা গ্রহণ করত। কিন্তু সত্য হলো, যে সমস্ত শেতাঙ্গ লোকেদের সাথে আমার শীটকাতে (Sheet’ka) কথা হয়েছিল তাদের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা নৈতিকতার ইতিহাস সম্পর্কে আরো ভালো জ্ঞান রাখত যেসকল লিংগিট (Tlingit) লোকেদের সাথে আমার কথা হয়েছিল।
আরবান ইন্ডিয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট (The Urban Indian Health Institute) এবং অনুরূপ সংস্থাগুলো যেগুলো নেটিভ সম্প্রদায়ের কথা শোনাকে অগ্রাধিকার দেয়, তারা স্থানীয় মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে এবং প্রবীণদের সাথে কাজ করে ভ্যাকসিন সম্পর্কে দ্বিধা সম্পূর্ণ ভাবে দূর করেছে। শিটকা-তে (Sheet’ka), কেন অনেকেই শেষ পযন্ত টিকা নেওয়াকে বেছে নিয়েছেন এবং কেন তারা মনে করেছে অন্যদেরও টিকা গ্রহণ করা উচিত, এ ব্যাপারে আলাস্কার শিটকা (Sheet’ka) উপজাতিরা উপজাতীয় কাউন্সিলের (Tribal Council) সদস্যদের কাছে প্রশ্ন করেন। তারা তাদের ঊত্তরে গুরুত্বারোপ করেছিলেন কোভিড-১৯ এর ক্ষতি থেকে নিজেদের সম্প্রদায়ের সবচেয়ে দুর্বলদেরকে রক্ষা করার উপর।
চলমান বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিক সহিংসতা এবং বেদনামূলক স্মৃতি থাকা সত্ত্বেও, শেষ পযন্ত আমি যাদের সাথে কথা বলেছিলাম তাদের বেশিরভাগ লিংগিট (Tlingit) লোকই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। অনাদিকাল থেকে তাদের পরিচালিত করে আসছে এবং আজও তা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে তাদের নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা, সমবেদনা, এবং তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি যত্ন ও তাদের অতীত। এটি এমন একটি শিক্ষা যা সমস্ত জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হৃদয়ে গেথে নেওয়া উচিত।

২০২২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভিস থেকে সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান-এ অ্যাডাম কার্শ তার পিএইচডি অর্জন করেন। ২০০ বছর ধরে আলাস্কার শিটকাতে শেতাঙ্গ/শ্রুভ্রতা, সংক্রামক রোগ, বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিকতা এবং জাতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। কীভাবে রোগ এবং জাতি সম্পর্কে ধারণা ঔপনিবেশিক জনস্বাস্থ্য প্রোগ্রামগুলোকে প্রভাবিত করে তা নৃতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্শের (Kersch) সম্প্রদায় ভিত্তিক গবেষণার রুপরেখা প্রদান করে।
[লেখার সকল দায়বদ্ধতা লেখক নিজে সংরক্ষণ করবেন।]