এমিল ডুর্খেইম:
আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা এমিল ডুর্খেইম ১৮৫৮ সালের ১৫ই এপ্রিল ফ্রান্সের একটি ছোট শহর Epinal এ জন্মগ্রহণ করেন। ডুর্খেইম ছিলেন একজন ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী। তিনি সমাজবিজ্ঞানকে একটি বিধিবদ্ধ একাডেমিক বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। মাক্স ভেবার, কার্ল মার্ক্স ও ডুর্খেইমকে একত্রে সামাজিক বিজ্ঞানের মূল স্থপতি ও সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিম বন্দর নগরী Bordeaux-এ থাকাকালীন মাত্র ২৯ বছর বয়সেই এমিল ডুর্খেইম তার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করেন। আধুনিক যুগে যেখানে পূর্বতন সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধনগুলো আর টিকে থাকতে পারেনি এবং নতুন নতুন সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিভাবে সামাজিক ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা যায়, সেটা ছিল ডুর্খেইমের রচনার মূল লক্ষ্য। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
- The Division of Labor In Society (1893)
- The Rules of Sociological Method (1895)
- Suicide (1897)
১৯০২ সালে ফ্রান্সের Sorbonne বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাস্থানসহ অধ্যয়ন শুরু করেন এবং তার অত্যন্ত বিখ্যাত কাজ শুরু করেন। যা ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয়- The Elementary Forms of Religioles Life (1912)
এমিল ডুর্খেইম আমাদের মাঝে বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত তিনি একাধারে ক্রিয়াবাদের জনক ফরাসি সমাজবিজ্ঞানের জনক আধুনীক সমাজবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সমাজবিজ্ঞানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপকের আসনও অলংকৃত করেছেন। তিনি সমাজ সম্পর্কিত তার আলোচনায় ব্যক্তির চেয়ে সমাজকে অগ্রধিকার দিয়েছেন। ফরাসীর রাজনৈতিক ঐতিহাসিক বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলোনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা প্রভাবের ফসল হলেন এই ফরাসীর সমাজবিজ্ঞানীর। তিনি Thomas Hobbes , Rousseau দ্বারা প্রভাবিত; বিশেষ করে A. Comte দ্বারা । তাদের থেকে নিজকে আলাদা করে স্বতন্ত্র অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সমাজের উৎসের ব্যাপারে Thomas Hobbes , Rousseau এর বক্তব্য প্রত্যাখানের মাধ্যমে তিনি social প্রত্যয়টিকে আমাদের সমনে আনেন। তার মতে সমাজই ঠিক করে দেয় ব্যক্তির ভূমিাকায় সমাজে কি হবে। ব্যক্তি সমাজ সৃষ্টি করতে পারেনা। তার মতে আমরা জন্মের পর এবং মৃত্যুর পরও সমাজ টিকে থাকে। এভাবে সমাজ ব্যক্তির উপর কতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন করে। তিনি social প্রত্যয়টিকে বিশ্লেষণ করতে চান এবং social & sociology মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেন।
সর্বোপরি ফরাসী দেশে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদের প্রতি অধিক ঝোঁক, A. Comte ,Thomas Hobbes , Rousseau প্রভাব-এসকল বিষয়ই এমিল ডুর্খেইম এর সমাজবিজ্ঞান সংক্রান্তকাজের প্রেক্ষাপট রচনা করে দেয়। তবুও মহান এই সমাজবিজ্ঞানীর কাজ অতটা ফলাও করে প্রচার পায়নি যতোটা প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন Visions of Culture – এর লেখক Jerry D Moore (1997) । এর পেছনে হয়তো ভাষার বাধাই প্রধান কারণ ছিল বলে তিনি মনে করেন; কেননা তার জীবনকালে মাত্র একটি বই ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল মাত্র। এমিল ডুর্খেইম ১৫ নভেম্বর ১৯১৭ মৃত্যুবরণ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাজ:
- Montesquieu’s contributions to the formation of social science (1892)
- The Division of Labour in Society (1893)
- The Rules of Sociological Method (1895)
- On the Normality of Crime (1895)
- Suicide (1897)
- The Prohibition of Incest and its Origins (1897), in L’Année Sociologique 1:1–70
- Sociology and its Scientific Domain (1900), translation of an Italian text entitled “La sociologia e il suo dominio scientifico”
- Primitive Classification (1903), in collaboration with Marcel Mauss
- The Elementary Forms of the Religious Life (1912)
- Who Wanted War? (1914), in collaboration with Ernest Denis
- Germany Above All (1915)
মার্গারেট মিড:
তিনি পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ১৬ ডিসেম্বর ১৯০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই বড়। তাঁর বাবা Edward Sherwood Mead যিনি Wharton School of the University of Pennsylvania এর অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর মা Emily Mead ছিলেন একজন সমাজবিজ্ঞানী। Margaret Mead খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি আমেরিকার সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানী ছিলেন।
নৃবিজ্ঞানের প্রতি মার্গারেট মিডের আগ্রহ তৈরি হয় Barnard college এ আসার পরে। ১৯২৩ সালে বার্নার্ড কলেজ থেকে নৃবিজ্ঞানে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি Franz Boas এর সরাসরি ছাত্রী ছিলেন এবং রুথ বেনেডিক্ট দ্বারা প্রভাবিত হন । ১৯২৪ সালে Columbia University থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯২৫ সালে তিনি Samoa তে মাঠকর্ম সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ১৯২৬ সালে Columbia University থেকে PhD ডিগ্রি অর্জন করেন।
সম্ভবত তিনি পাশ্চাত্য জগতে বিংশ শতকের সবচাইতে জনপ্রিয় নৃবিজ্ঞানী। তাঁর প্রথম কাজ ছিল সাবালক হওয়া প্রসঙ্গে, Coming of Age in Samoa (1928). বইটি সাধারন পাঠককে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছিল, বইয়ের বাজারে এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে। তিনি নিউগিনি এবং বালিতেও মাঠ গবেষণা করেন। তাঁর কাজের প্রধান সিদ্ধান্ত ছিল ব্যক্তিত্ব গঠিত বা নির্ধারিত হয় সাংস্কৃতিকভাবে, জৈবিকভাবে নয়। তিনি ১৯৭৮ সালের ১৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মার্গারেট মিডের উল্লেখযোগ্য কাজ:
- Coming of Age in Samoa (1928)
- Growing Up In New Guinea (1930)
- The Changing Culture of an Indian Tribe (1932)
- Sex and Temperament in Three Primitive Societies (1935)
- And Keep Your Powder Dry: An Anthropologist Looks at America (1942)
- Male and Female (1949)
- New Lives for Old: Cultural Transformation in Manus, 1928–1953 (1956)
- People and Places (1959; a book for young readers)
- Continuities in Cultural Evolution (1964)
- Culture and Commitment (1970)
- The Mountain Arapesh: Stream of events in Alitoa (1971)
- Blackberry Winter: My Earlier Years (1972; autobiography)