Print Friendly, PDF & Email

যেকোনো সমস্যা কিংবা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে হলে অথবা নিরাপদ থাকতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল নিজের মধ্যে সচেতনতা নিয়ে আসা এবং দায়বদ্ধতা তৈরি করা। ডেঙ্গু কেন হয়, কিভাবে হয় কিংবা কিভাবে ছড়াচ্ছে তা আমরা কম বেশি সকলেই জানি এবং বুঝি। কিন্তু যা জানিনা তা হল কিভাবে আমরা এই পরিস্থিতি এবং বাস্তবতা মেনে নিব এবং সে অনুযায়ী সচেতনতা গড়ে তুলব যেন আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারি। 

আমরা খেয়াল করে দেখব যে, আমাদের চারপাশে যে সমস্যাগুলো বিদ্যমান তার পেছনের মূল কারন হচ্ছে আমাদের জীবনযাপনের অব্যবস্থাপনা এবং সঠিক অভ্যাস অনুসরণ না করা। যার একটি দিক উল্লেখ করা যায় যে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা।

আমরা জেনে থাকব যে এডিস মশা বিস্তার লাভ করে সাধারণত বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে এবং বর্ষাকালে। সাধারণত অপরিচ্ছন্ন জায়গায় এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনব্যবস্থায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখি এবং আলো বাতাসপূর্ণ স্থানে বসবাস করবার চেষ্টা করি তাহলে ডেঙ্গুসহ আরও অনেক রোগকেই আমরা সহজে নির্মূল করতে পারব। এজন্য আমাদেরকে মনস্থির করতে হবে এবং আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গু কেন হয়, কিভাবে ছড়ায় তা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারি এবং আমাদের বসতবাড়ি এবং চারপাশকে সে অনুযায়ী রাখতে পারি, তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

কোভিড মহামারিতে আমরা দেখেছি যে অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু আক্রান্ত হবার তেমন কোন লক্ষন প্রকাশ পায়নি, কিংবা নিয়ম কানুন মেনেছেন এরপরও আক্রান্ত হয়েছেন। ঠিক তেমনই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে কিংবা আলো বাতাস যুক্ত শুস্ক স্থানে বসবাস করলেই এডিস মশা দ্বারা আক্রান্ত হবে না – এ কথা ঠিক নিশ্চিত করে বলা যায়না। তাই এক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় মশারীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

ব্যক্তি জীবনে আমার অভিজ্ঞতায় অনেককেই দেখেছি যে মশার উপস্থিতি অনুভব না করলে এবং গরম অনুভব করলে মশারি ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে মশা প্রতিরোধক কয়েল ব্যবহার করেন যা কিনা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই মশারীর ব্যবহার করা সবসময়ের জন্য কল্যাণকর এবং একটি ভালো প্রাকৃতিক উপায়। 

যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার মূল উপায় হচ্ছে মানসিক দৃঢ়তা এবং সচেতনতা। তাই ডেঙ্গু যেন না ছড়াতে পারে সেজন্য মানসিক ভাবে দৃঢ় থাকতে হবে চারপাশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। 

…………………………………………………

সানজিদা ইয়াসমিন শুভ্রা, (শিক্ষার্থী) নৃবিজ্ঞান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

[লেখার সকল দায়বদ্ধতা লেখক নিজে সংরক্ষণ করবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here