Print Friendly, PDF & Email

ধনী পশ্চিমের ‘ঘোস্ট ওয়ার্কারদের’ থেকে শুরু করে স্মার্টফোনের সামাজিক তাৎপর্য নিয়ে অধ্যয়ন করে, কীভাবে আমরা আমাদের জীবনকে কাঠামোবদ্ধ করি সে সম্পর্কে নিচের বইগুলো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

Gillian Tett

গত ২৩ জুন, ২০২১ তারিখে গিলিয়ান টেট ব্রিটিশ পত্রিকা The Guardian এ Top 10 books of everyday social anthropology একটি লেখা প্রকাশ করেন। সামাজিক নৃবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি বই নিয়ে তাঁর লেখাটি AnthroBD’র পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছেন খলীলুল্লাহ মুহাম্মাদ বায়েজীদ। উল্লেখ্য Gillian Tett একজন নৃবিজ্ঞানী এবং Financial Time পত্রিকার ইউএস সম্পাদনা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাঁর Anthro-Vision: How Anthropology Can Explain Business and Life শিরোনামের বইটি প্রকাশ করেছে Cornerstone.

‘“Real” life is forcing us to rethink how we structure our lives all over again’ … visitors to the reopened National Gallery of Art in Washington, DC look at new installation My favorite season is the fall of the patriarchy, by artist Sarah Cain.

[এই করোনাকালে] “বাস্তব” জীবনে প্রত্যাবর্তন আমাদেরকে আমরা কীভাবে আমাদের জীবনকে আবার নতুন করে গঠন করবো, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে।… পুনরায় খুলে দেওয়া ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে দর্শনার্থীরা। ছবি: মাইকেল রেনল্ডস/ইপিএ।

আসলে নৃবিজ্ঞান কী?- সেটার সংজ্ঞায়ন দাঁড় করানো কখনও কখনও গোছলের সময় সাবান তালাশের অনুভবের মতোই। [অর্থাৎ সংজ্ঞায়ন করাটা কঠিন ব্যপার।] আমাদের চারপাশ বা প্রতিবেশ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি । তবে এমন এক পৃথিবীতে [আমরা বসবাস করছি] যেখানে [মানব] বৈচিত্র্যের বিষয়গুলো এখন অনেক বেশি রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি করছে, সেখানে কোন বিষয়গুলো “সংস্কৃতি”কে নির্ধারণ করে বা কীভাবে সাংস্কৃতিক পার্থক্য বা ভিন্নতা নিয়ে আলোচনা করা যায়- সে সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। কেবলমাত্র এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের যে শাখা মানব সংস্কৃতি অধ্যয়ন করে, তাকে সামাজিক নৃবিজ্ঞান বলে। এ শাখাটির স্ববিরোধী অতীতও রয়েছে: যদিও এটি আজ মানব বৈচিত্র্যকে সমর্থন বা রক্ষা করে, এটার একটি বর্ণবাদী, সাম্রাজ্যবাদী অতীত রয়েছে যা আধুনিক নৃবিজ্ঞানীরা ধারণ করেন না (ডিসওউন)।

কিন্তু প্রবলভাবে বিশ্বায়িত এবং বিপজ্জনকভাবে মেরুকৃত এই বর্তমান বিশ্ব, যেখানে আমাদের স্পষ্টভাবে অন্যদের প্রতি সহানুভূতি অর্জন ও প্রকাশ করতে হবে, সেখানে সংস্কৃতির সংজ্ঞায়ন কঠিন হলেও কেউ তা উপেক্ষা করতে পারে না। এবং বর্তমান এই করোনাকালে সংস্কৃতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করাটা আরো জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ কোভিড-১৯ আমাদের সবাইকে নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক আঘাত বা সাংস্কৃতিক ধাক্কায় ফেলে দিয়েছে। যেমন- লকডাউন আমাদেরকে বিস্ময়কর গতিতে সাইবার পরিসরে ঠেলে দিয়েছে এবং শারীরিক, “বাস্তব” জীবনে প্রত্যাবর্তন আমাদেরকে আমরা কীভাবে আমাদের জীবনকে আবার নতুন করে গঠন করি তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। নৃবিজ্ঞানী হিসাবে আমার প্রশিক্ষণ এবং অর্থনীতি ও ব্যবসা বিষয়ক সাংবাদিক হিসাবে কাজ করার আমার অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা আমার নিজের বইয়ের শিরেনাম, অ্যানথ্রো-ভিশন। বর্তমানের ডিজিটাল বা প্রযুক্তিনির্ভর যুগে কেন সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক ধাক্কার বিষয়টি সামাজিক নৃবিজ্ঞান গুরুত্ব দেয়, তা এই বইতে  গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আমার বইটি বাদে আজকের এই সময়ে সংস্কৃতি এবং নৃবিজ্ঞানের এতো গুরুত্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে এমন আরো ১০ টি বই সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো।

  1. Think Like an Anthropologist by Matthew Engelke:

এ বইটিতে নৃবিজ্ঞান জ্ঞানকান্ডকে রূপদানকারী প্রধান প্রধান বিষয়গুলোর একটি স্পষ্ট, প্রাণবন্ত, ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন সাধারণ পাঠক, একজন শিক্ষার্থী কিংবা কোনও কিশোরের পিতামাতা, যারা তাদের সন্তান কেন অ্যাকাউন্টিং বা হিসাববিজ্ঞানের [মতো বিষয়ে] পরিবর্তে নৃবিজ্ঞান অধ্যয়ন করতে চায় তা বুঝতে পারে না- তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ প্রাথমিক বই। আর হ্যাঁ, চিন্তা করবেন না; নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজার এখনো রয়েছে, যে কেউ খুঁজে পেতে পারেন।

  1. Gods of the Upper Air: How a Circle of Renegade Anthropologists Reinvented Race, Sex and Gender in the 20th Century by Charles King

শিরোনাম একটু উদ্ভট লাগলেও এটি ১৯শ এবং ২০ শতকের নৃবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে লেখা চমৎকার একটি বই। আধুনিক পাশ্চাত্য চিন্তাধারার উৎস কিংবা বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান বিতর্ক সম্পর্কে আগ্রহীদের জন্য এটি একটি আবশ্যিক পাঠ্য। বইটিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপেক্ষিত পশ্চিমা ইতিহাসের একটি অংশের উপর একটি প্রাণবন্ত অন্তর্দৃষ্টির উপস্থাপন চোখে পড়ার মতো। এই বইটি আইনী, সরকার এবং কর্পোরেট নীতির সাথে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।

  1. The Weirdest People in the World: How the West Became Psychologically Peculiar and Particularly Prosperous by Joseph Henrich

গত বছর সালে প্রকাশিত হওয়া বইগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় বই। হেনরিক বৈমানিক বা এ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি একজন বিবর্তনবাদী নৃবিজ্ঞানী-সহ-জীববিজ্ঞানী (anthropologist-cum-biologist) হয়ে উঠেন। এই নবজাগরণের পরিপ্রেক্ষিত তাকে আজে উইয়ার্ড (WEIRD) সমাজগুলির বিশেষত্বগুলিতে উজ্জ্বলভাবে লিখতে সক্ষম করেছে। উইয়ার্ড (WEIRD) সমাজ বলতে – পাশ্চাত্য, শিক্ষিত, শিল্পোন্নত, ধনী ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে বোঝায়।  তিনি তার বইতে এই সব উইয়ার্ড সমাজ-সংস্কৃতির অবক্ষয়গুলো ও নীতিভ্রংশতাকে অত্যন্ত স্পষ্ট করে তুল ধরেছেন।  এই বইটি পড়ার পর কোন পাঠক আর কখনও একইভাবে বা আগের মতো করে মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি দেখবেন না। এমনকি লিটারেসি বা সাহিত্য রচনায় পাণ্ডিত্য এবং স্বতন্ত্র পরিচয় কীভাবে আমাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করে তা একজন পাঠক কখনই উপেক্ষা করবেন না।

  1. Debt, the First 5,000 Years by David Graeber

২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর পরই এই বইটি প্রকাশিত হয়। এটি বড় বড় অর্থনৈতিক সংকট (গ্রেট ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস) তৈরি করে এমন অন্তর্নিহিত কাঠামোগত বিন্যাসের উপর সামাজিক বিজ্ঞানীদের দ্বারা লিখিত সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাখ্যা প্রদানকারী বইগুলোর একটি। বইটির লেখক ডেভিড গ্রেবার গত বছর হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন। তবে তিনি না থাকলেও তাঁর বইটি আজও আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ পণ্যবিনিময় ব্যবস্থা, ঋণ (ডেব্ট) ও ক্রেডিট সম্পর্কে অর্থনীতিবিদদের গৃহীত ধ্যানধারণাগুলোর অধিকাংশই গ্রেবারের লেখালেখির দ্বারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এই বইটি যে কোনও অর্থনীতিবিদ এবং রাজস্বাধ্যক্ষ/ফিনান্সিয়ার (Financier), বন্ধকী ব্যবস্থা  (mortgage) ও ক্রেডিট কার্ডের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী- এমন যে কোন ব্যক্তির জন্য আবশ্য পাঠ্য।

David Graeber in 2015.
২০১৫ সালে দি গার্ডিয়ানের জন্য  ফ্র্যান্টেস্কো ক্যাঙ্গারিসের তোলা ছবিতে ডেভিড গ্রেবার।

5. Watching the English: The Hidden Rules of English Behaviour by Kate Fox

এটি এমন একজন একাডেমিকের সুখপাঠ্য হয় বই, যিনি কেবল নিজেই নৃবিজ্ঞানী নন, যার পিতা রবিন ফক্সও বিংশ শতাব্দীর নৃবিজ্ঞান বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ বইটি ব্রিটিশ সংস্কৃতির বিশেষত্বগুলোর উপর একটি দুর্দান্ত সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে যা একজন পাঠককে ব্রিটিশ পণ বা বাজি ধরা শিল্প এবং আবহাওয়া সম্পর্কেে আমাদের অবিরাম কথা বলার প্রবণতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে পুনঃচিন্তার খোরাক যোগাবে। তবে এ বইটিতে নৃবিজ্ঞান সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে। আর সেটি হলো- যদিও এই জ্ঞানকান্ডটি [শুরুর থেকেই] অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলোর উপর অধিক গুরুত্ব দিত, বর্তমানে এটি পশ্চিমা সমাজ-সংস্কৃতিও অধ্যয়ন করে। এই অনুশাসনটি অ-পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলিতে মনোনিবেশ করত, এখন এটি পশ্চিমেও অধ্যয়ন করে। এজন্য দেখা যায়, রবিন ফক্স যখন মেক্সিকো’র সমাজ-সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করছেন, সেসময় তাঁর কন্যা বিশ্লেষণের লেন্সকে উল্টে দিয়ে তাকে সম্ভবত “নেটিভ” ব্রিটিশ অঞ্চল নিয়ে গবেষণা করছেন। এখানে উভয় দৃষ্টিভঙ্গিই আকর্ষণীয়।

 

6. Ghost Work: How to Stop Silicon Valley from Building a New Global Underclass by Mary L Gray and Siddharth Suri

যদি আপনি ভাবছেন যে নৃবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ব্যবহার করার কোন বাস্তব বা প্রায়োগিক দিক আসলেই আছে কিনা- তবে বর্তমানে মাইক্রোসফটের একটি গবেষণা ইউনিটে কর্মরত একজন নৃবিজ্ঞানীর এই আকর্ষণীয় বইটি আপরনারই জন্য। [তার নাম ম্যারি এল. গ্রে]। তিনি তার জ্ঞানকান্ডীয় বোঝাপড়া ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তি জগতের একটি লজ্জাজনক ও উপেক্ষিত একটি দিক তুলে ধরেন, যা  “ঘোস্ট” [ভূত] (বা গিগ) কর্মী নামে পরিচিত। এবং সৌভাগ্যক্রমে সিয়াটল টেক জায়ান্ট [তথা মাইক্রোসফট] বইটি প্রকাশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ সুরি এই বইটির সহলেখক। বইটি আধুনিক নৃবিজ্ঞানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে: এটি অন্যান্য বিশিষ্টতার সাথে মিলিত হয়ে অত্যাধুনিক বিশ্লেষণ দাঁড় করাতে পারে। 

7. The Power of Not Thinking: How Our Bodies Learn and Why We Should Trust Them by Simon Roberts

নির্বাহী, রাজস্বাধ্যক্ষ বা ফাইনান্সিয়ার, নীতিনির্ধারক (এবং অন্য সবাই)কে কেন নৃবিজ্ঞানের একটি মৌলিক ধারণা সাগ্রহে গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করে রচিত একটি অপূর্ব বই এটি। [সেই মৌলিক ধারণাটি হলো- “অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ” (participant observation)]। একটি বড় তথ্য ভাণ্ডারের দিকে দৃষ্টি দিয়ে আমাদের বিশ্ব পরিসর, শারীরিক অভ্যাস, রিচ্যুয়াল বা আচার-অনুষ্ঠান এবং অ-মৌখিক অঙ্গভঙ্গিগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বোঝাপড়া সম্ভব নয়। বরং এগুলোকে ভালোভাবে বুঝতে হলে আপনাকে “অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ” ধারণাকে আমলে নিতে হবে। আর এটি [“অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ”] হলো- সহানুভূতির সাথে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অন্য কারো জুতা পরে হাঁটা।

8. Sensemaking by Christian Madsbjerg

গ্রাহক পণ্য, বিপণন এবং অন্যান্য ব্যবসার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কীভাবে নৃবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা বা তাত্ত্বিক ধারণা ব্যবহার করা যায়- সে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা প্রদানকারী/ব্যাখ্যার উপর লিখিত একটি প্রাণবন্ত বই। কীভাবে সকল ধরণের সমস্যার পুনর্বিবেচনা করবেন- তা প্রায়োগিক এবং রসাত্মক ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। 

এটি খুবই জটিল… কিশোররা মধ্য লন্ডনে তাদের স্মার্টফোনে ব্যবহারে নিমগ্ন। গেটি ইমেজ এর জন্য ছবিটি তুলেছেন রিচার্ড বেকার/কর্বিস

9. It’s Complicated: The Social Lives of Networked Teens by danah boyd

এটি ইয়াহু এবং মাইক্রোসফটে কাজ করা একজন গবেষক নৃবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কীভাবে সাইবার পরিসরে কিশোর-কিশোরীদের সময় কাটানো অধ্যয়ন করেছেন, তা বর্ণনা করে রচিত চিন্তা-উদ্রেককারী একটি বই। এ বইটি আপনার শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করবে, কেননা শিশুদের বাস্তব জগতে চলাচলের উপর সাইবার পরিসরের গভীর প্রভাব রয়েছে। 

10. Exotic No More: Anthropology for the Contemporary World edited by Jeremy MacClancy

একাডেমিক বইগুলোর পাঠ ও বোঝাপড়া কঠিন বলে সামাজিক নৃবিজ্ঞানের শীর্ষ ১০ টি বইয়ের এই তালিকায় ইচ্ছাকৃতভাবেই একাডেমিক বইকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আপনি যদি নৃবিজ্ঞান কীভাবে একটি জ্ঞানকান্ড হিসেবে কাজ করে সে সম্পর্কে আরও একাডেমিক ধারণা পেতে চান, সেক্ষেত্রে একজন শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানীর দ্বারা সম্পাদিত এই সুখপাঠ্য সংকলনটি [আপনার জন্য] সুবোধ্য ও সুদূরপ্রসারী হতে পারে। [বইটি সম্পাদনা করেছেন জেরেমি ম্যাকক্ল্যান্সি। আর শিরোনাম- এক্সোটিক নো মোর: এ্যানথ্রোপলজি ফর দ্যা কনটেমপোরারি ওয়ার্ল্ড (Exotic No More: Anthropology for the Contemporary World edited by Jeremy MacClancy)]।

শিরোনামটি আধুনিক নৃবিজ্ঞানের একটি বার্তা ধারণ করেছে, তা হলো: শিক্ষাবিদদের সম্পর্কে ইন্ডিয়ানা জোন্সের মতো অভিনয়কারীদের ন্যায় পুরানো ক্লিশেগুলো/ছাঁচগুলো ভুলে যান; [নৃবিজ্ঞান] জ্ঞানকান্ড আজকের এই বিশ্বে আধুনিক, অত্যাবশ্যক, প্রাসঙ্গিক – এবং অত্যন্ত প্রয়োজন। এ বিষয়টিও বর্তমান প্রবন্ধের লেখক তার নিজ বইতে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আলোকপাত করেছেন। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here